চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার আয়তন ১৯৮.৯০ বগ কিঃমিঃ। চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ থানা সৃষ্টি হয় ১৮১৮সালে । বর্তমানে এটি ০১টি পৌরসভা, ১১টি ইউনিয়ন, এবং ১৪৭ টি গ্রাম নিয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা গঠত। জনসংখ্যা ২,৯১,৮২৩ জন। এখানে মুসলমান ধর্মের অনুসারি ৯২.০৪%, হিন্দু অথবা সনাতন ধর্মের অনুসারি ৭.৮% এবং অন্যান্য ধর্মের অনুসারি ০.১৬%। স্বাক্ষরতার হার ৬৪.৫%, যার মধ্যে পুরুষ ৬৬.১% এবং মহিলা ৬১.৩% হাজীগঞ্জ পৌরসভায় স্বাক্ষরতার হার ৬৯.৭%।
হাজীগঞ্জ উপজেলার পটভূমি ।
হাজীগঞ্জ মেঘনার পূর্বপ্রান্তে অতি পুরাতন ব্যবসা-বাণিজ্যর কেন্দ্ররূপে খ্যাত । এগার’শ বাংলাসনের কাছাকাছি হাজী মকিম উদ্দিন (রঃ) নামে একজন বুজর্গ অলীয়ে কামেল ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পবিত্র আরব ভূমি হতে স্ব-পরিবারে এ অঞ্চলে আগমন করেন। চাঁদপুর-কুমিল্লা রাস্তার উত্তর পাশে বর্তমান মসজিদের মাঝখানে একটি পুকুর ছিলো । সেই পুকুরের উত্তর পশ্চিম কোনে তিনি আত্তা স্থাপন করেন। কয়েক বছরের মধ্যে এ অলীয়ে কামেলের আগমন বার্তা ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করতে থাকে। পীরে কামেল হযরত মকিম উদ্দিন (রঃ) এর বংশের হাজী মুনির উদ্দিন (মনাই হাজী) (রঃ) পৈত্রিক খানাকা শরীফে (হুজুরা নামে খ্যাত) আশেপাশে হতে আগত ভক্তগণকে নিয়ে ধর্ম কর্ম সম্পাদনের জন্যে মুরিদগণকে ছবক প্রদান করতেন। তিনি খুবই সাধাসিধে জীবন যাপন করতেন এবং সুন্নাতে রাসূল (সঃ) হিসেবে সম্পদায়ের জন্যে ব্যবসা কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে তৎসময়কার নাখালের উত্তর পাড়ে একটি দোকান প্রতিষ্ঠা করেন। নিত্য প্রয়োজনীয় এই দোকানের খ্যাতি অল্প দিনের মধ্যেই লোকমুখে রূপকথার ন্যায় ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়ে হাজী সাহেবের দোকানের নাম করন থেকে হাজীগঞ্জ বাজার নাম করন করা হয় ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস